রাজধানীর একটা বহুজাগতিক কোম্পানীতে চাকরী করেন মি.খরগোশ।
তারই অধীনে কাজ করেন মি.কচ্ছপ।কাজে ধীরগতির কারণে অনেক সময়ই বসের ট্রলের শিকার হন
মি.কচ্ছপ। তবে সততার সাথে সবকাজ ঠিকঠাক করেন বলে চাকরীটা এখনো টিকে আছে।মজার বিষয়
হচ্ছে তারা দুইজনই একই এলাকায় থাকে।
প্রতিদিন মি.খরগোশ কার হাকিয়ে অফিসে সময়মতো এলেও মি.কচ্ছপ
লোকাল বাসের ঠেলাঠুলি আর ট্রাফিক জ্যামে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই লেট করে অফিস পৌছান।
এ নিয়ে তার বস প্রায়শই তাকে বকাঝকা করেন।সততার কারণে তার
অতো টাকাও নেই যে প্রতিদিন ট্যাক্সি করে কিংবা নিজের গাড়িও নেই অফিসে যাবেন।বরাবরের
মতো আজও অফিসে গেলে মি.খরগোশ তাকে কিছু কথা শুনিয়ে বললেন,'আশা করি আজকের পর থেকে কথাগুলো আর আপনাকে বলতে হবে না!'
কচ্ছপ উৎসাহী হয়ে জানতে চাইলো,'কেন স্যার!?কাল থেকে কি আপনি রিজাইন করছেন!?'
-'গেট আউট!!'
ঐদিন অফিস থেকে ফিরার পথে কচ্ছপ একটা সাইকেলের দোকান খেয়াল
করলো।ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর মডেলের অনেক রকমের সাইকেল।মি.কচ্ছপ তার ছোটবেলায়
জগৎ ফিরে গেলেন।ভাবলেন যদি এখন সাইকেল চালানো যেতো।
পরক্ষণেই দমে গেলেন,এই বয়সে লোকে কি ভাববে
ভেবে।তবে কিছুক্ষণ পরই মি.কচ্ছপকে হেলমেট মাথায় একটা দেশী ব্যান্ডের সাইকেলসহ ঐ দোকান
থেকে বের হতে দেখা গেলো।শিক্ষা আর সাইক্লিং এই দুইটারই কোন বয়স নাই।
পরের দিন সকালে কচ্ছপকে সাইকেলে দেখে খরগোশ সেই লেভেল ট্রল
করা আরম্ভ করলো!
'আরে কচ্ছপ ছেলের সাইকেলে কি করো!!
পিঠের উপর একটা থাকা সত্ত্বেও আরেকটা হেলমেট কিসের জন্য!?ব্লা.,ব্রা...ব্লা।
কচ্ছপ তাতে কর্ণপাত না করে হালকা একটা হাসি দিয়ে সেখান
থেকে চলে গেলো।ঐদিনই অফিসে বসের আগে অফিসে পৌছুল কচ্ছপ।টিনের চালে কাক সবাই তো
অবাক।এটা কিভাবে সম্ভব!?কাকতালীয় ভেবে সবাই কাজে মন দিলো।
পরের দিনই একই ঘটনা।
একটা সাইকেল মি কচ্ছপের পুরো লাইফ ষ্টাইল চেন্জ করে দিয়েছে।
যেখানে আগে ভোর ছটায় উঠে অফিসে ছুটতে হতো সেখানে তিনি ভোর
ছটাতেই ওঠে ঘন্টাখানেক সাইক্লিং করেন।এতে করে তার শরীর ও মন দুটোই সারাদিনের জন্য
ফ্রেশ হয়ে যান।সাপ্তাহিক ছুটিতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আসেন।এ এক অন্য রকম জীবন!!যে
জীবনে নেই কোন একঘেয়েমিতা আছে শুধু জীবন আর পৃথিবীকে নতুন করে দেখার জানার এবং
চিনার।
একদিন অফিস যেতে বস মি.খরগোশের সাথে দেখা বস তার স্বভাবতই
ট্রল শুরু করলেন,'দেখি আজ অফিসে কে আগে পৌছুতে
পারে।তোমার সাইকেল না আমার কার!একটা রেস হয়ে যাক।'কচ্ছপ
রাজী হলো।কচ্ছপ তার স্বভাবতই ধীরে সুস্থে সাইকেল চালিয়ে জ্যামট্যাম ঠেলে ঠিক সময়ের
অনেক আগেই অফিসে পৌছুলেও,তার বস মি.খরগোশ ট্রাফিক জ্যামে
আটকে আর মাঝপথে গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় রেসটা হেরে যান।
বসের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না।তাই পরের দিন আবার রেস
লাগালেন,আবারো একই পরিণতি।তারও পরের দিন এলেন মোটরসাইকেল নিয়ে,এবারও লাইসেন্স আর হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা
খেল।ওদিকে কচ্ছপ ঠিকই অফিসে পৌছে গেলো।
অবশেষে মি.খরগোশের বোধোদয় হলো।কচ্ছপের সাথে আলাপ করে তিনি
ঐদিনই একটা সাইকেল কিনে ফেলেন।
এখন মি.কচ্ছপ আর মি.খরগোশ একসাথে সাইকেল চালিয়ে অফিস করে
তাদের দেখাদেখি অফিসের অনান্যরাও সাইক্লিং শুরু করলো।
ও হ্যাঁ,বলাই হয় নি!!
মি.কচ্ছপ ফেসবুকে বিডিসাইক্লিষ্টেস-এর সদস্য ছিলেন।মূলত
বিডিসাইক্লিস্টস এর অনুপ্রেরণাতেই তার সাইক্লিং জগতে প্রবেশ। কাজ কর্মে ঢিলেঢালা
ভাব থাকায় কখনো বিডিসির কোন ইভেন্ট জয়েন করতে পারেন নি,তবে শোনা যাচ্ছে এবারে বিজয় দিবস রাইডে মি কচ্ছপ তার অফিসের সকল
সাইক্লিষ্টদের নিয়ে জয়েন করবেন। সাইক্লিষ্টদের এই মহোৎসবে হাজার হাজার
সাইক্লিষ্টদের মাঝে তাদের খুজে বের করাটাই দূর্সাধ্য ব্যাপার।বলা তো যায় না হয়তো
আপনার পাশেই তিনি সাইকেল চালাতে চালাতে মিশে যাবে বাংলার সাইক্লিস্টদের এই বিশাল
জয়ের মিছিলে....
মোরাল অব দ্য স্টোরি-''স্রো এন্ড স্টেডি উইন
দ্য রেস''
#হ্যাপী_সাইক্লিং
~~ Originally Posted by ত্রয়োদশ ব্যক্তি in
BDCyclists Group..
Thanks...
====>
Always feel free to SHARE so
that your friends can can know these informations. Keep
visiting this blog site for
more. U
also can submit your email to SUBSCRIBE
this blog.
Thanks
again. :)
No comments:
Post a Comment