Pages

Wednesday, December 31, 2014

মহাকবি কায়কোবাদ এর নবাবগঞ্জ > দোহার > মাওয়া ভ্রমনঃ বছরের শেষ লং রাইড

৩১ ডিসেম্বর ২০১৪... বছরের শেষ দিন ছিল। (সবাই জানে তবুও কেন লিখলাম কে জানে...!!!) যাই হোক, এইদিনে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম শুরু হবার কথা ছিল। Weaving... মাসুদ স্যার এর।  ভালমতোই প্রিপারেসন নিচ্ছিলাম। হুট করেই ৩০ তারিখে জুদ্ধপরাধের অভিযোগে কার যেন ফাসির রায় হয়ে যায়। :D ফলাফল পরের দিন থেকে টানা হরতাল।
       তো দুইটা অকেসন পেয়ে গেলাম। একে তো পরীক্ষা হবে না তার উপরে আবার বছরের শেষ দিন... কোথাও ঘুরতে যেতে মন চাচ্ছিল। সাইক্লিং করতেও ইচ্ছে করতেছিল খুব। খুজতে খুজতেই পেয়ে গেলাম ঢাকার একেবারে কাছে, মাত্র ৫৫ কিমি. দুরেই রয়েছে মহাকবি কায়কোবাদ এর জন্মস্থান!!! শুধু তাই না সেই সাথে আরও বেশ কয়েকটা জমিদারবাড়ি...!!!


At Manik Mia Ave.
       কে পায় আমাকে আর! সাথে সাথেই এন্ডোমোন্ডো তে রুট বানাতে বসে গেলাম। হেল্প নেই গুগল আর্থ এর স্যাটেলাইট ভিউ এর। আরও অনেক জায়গা খুজে পেলাম।
       রুট বানানো শেষে দেখি যাওয়া আসা মাত্র ১০০ কিমি. এর মতো। পরে রুট টা একটু এডিট করে মাওয়া পর্যন্ত নিয়ে গেলাম। সেখানে বসে ইলিস খাব বলে। শেষে রুট দাঁড়ালো ১৪২ কিমি. এর মতো। একাই যাবার প্ল্যান ছিল। কিন্তু অন্য রাইডারদের কথা চিন্তা করে কয়েকটা ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেই। ৬ জন আগ্রহ প্রকাশ করে সাথে যাবার জন্য। কিন্তু মাত্র ১ জনকে উপযুক্ত মনে হয় বলে সেই একজন রাইডারকে কনফার্ম করি।
       প্রথমেই বলে নেই কি কি দেখার আছে সেখানে...
১. নবাবগঞ্জের কলাকোপা’র বিখ্যাত ও প্রাচীণ বৌদ্ধ মন্দির। এখানকার গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটার মাথা নেই………… ১৯৭১ এ পাক বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।
On Bochila Bridge
২. কলাকোপায় কোকিল প্যারি জমিদারবাড়ি
৩. আনসার ক্যাম্প
৪. আন্ধার কোঠা
৫. জজবাড়ি
৬. উকিল বাড়ি
৭. জমিদার খেলারাম দা এর বাড়ি (এই মহলটা নাকি পাচতলা ছিলো, একরাতে হঠাত করে তিনতলা ধ্বসে গিয়ে মাটিতে ঢুকে যায়, এখন শুধু উপরের দুই তলা মাথা জাগিয়ে রেখেছে !!!! তবে সিড়ি দিয়ে নিচের তলাগুলোতে নামা যেতো, এখন বন্ধ।)
৮. ইছামতি নদী।



এনসার আলির স্পেশাল খুদের ভাত খাবার পরে
ধলেশ্বরী ব্রিজে
       কথামতো ৩১ ডিসেম্বর এ রাইড শুরু করি ৬.৫০ এ মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে। প্রথম রেস্ট নেই বছিলা ব্রিজ এ। সেখান থেকে রুট টা সায়িদ কে বুঝিয়ে দিয়ে শুরু করি আমরা। আমাকে ফলো করে করে সায়িদ। ৪৫ মিনিটের মাঝেই পৌঁছে যাই এনসার আলির দোকানে। সেখানকার স্পেশাল খুদের ভাত যে খায় নাই সে আসলে এখনো অনেক কিছু খায় নাই... সেই লেভেলের একটা ভাত এটা। যাই হোক সেখানে খুব একটা দেরি করি নাই। এনসার চাচার কাছে কিছু ডিরেকসন নিয়ে মোন্ডো এর রুট একটু চেঞ্জ করে রুহিতপুর হয়ে চলে যাই ঢাকা-নবাবগঞ্জ হাইওয়ে তে।


   অসাম রোড সেটা একটা... মাঝে মাঝে কিছু ভাঙ্গাচোরা থাকলেও আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেটাকে পুষিয়ে দেয়... একে একে ধলেশ্বরী ইছামতি নদী ক্রস করে চলে যাই। দুই ব্রিজেই থেমে কিছু ফোটো শুট করি। এরপরেই সায়িদ কে ড্রাফটিং করানোর বেসিক শিখিয়ে দেই... আমার ড্রাফটিং করে ৭৩.৪ kmph স্পীড উঠানো সে অবিশ্বাস করেছিল, তারপর সে নিজেই যখন ৪০+ kmph এ সাইক্লিং করা শিখে গেল তখন সে স্বীকার করে নিল যে প্রপার টাইমিং আর স্ট্রেন্থ থাকলে সম্ভব। J



উপজেলা পরিষদের সামনে...





যাই হোক, ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিটেই পৌঁছে যাই নবাবগঞ্জ এ। সেখান থেকে কলাকোপা বাস স্ট্যান্ড এ। কারণ সব কিছুই সেখানে। জেনে অবাক হবেন যে সব কিছুই মাত্র ১ কিমি. এর কম দূরত্বের মাঝে এখানে...  লিস্ট আগেই দিছি। সেই সব কিছুই এখানে... একে একে সব দেখা শেষ করলাম, অনেক ছবি তুললাম। তবে খুব খারাপ লাগলো এটা দেখে যে সব গুলাই কেমন জানি 







অবহেলায় পরে আছে... সব গুলাই দখল... কোকিলপ্যারী জমিদার বাড়ী এখন আনসারদের কোয়ার্টার !!!! কলাকোপায় জমিদার বাড়ী। এখন বেদখল – কোকিলপ্যারী হাইস্কুলের টিচার্স কোয়ার্টার !!! (বৌদ্ধ মন্দিরের ঠিক পেছনে।),















“আন্ধার কোঠা”………… জমিদার খেলারাম দা’রবাড়ী। এই মহলটা নাকি পাচতলা ছিলো, একরাতে হঠাত করে তিনতলা ধ্বসে গিয়ে মাটিতে ঢুকে যায়, এখন শুধু উপরের দুই তলা মাথা জাগিয়ে রেখেছে !!!! তবে সিড়ি দিয়ে নিচের তলাগুলোতে নামা যেতো, এখন বন্ধ। ঢাকার মধ্যে হবার পরেও প্রোপার যত্ন আর প্রচারের এভাবে এদের কথা কেউ জানেই না...


এই মাস্ক দেখলে ভয় না পেয়ে উপায় আছে...!!!
       এখানে একটা বেশ মজার ঘটনা ঘটেছিল। মনে পরলেই এখনো হাসি পায় আমার... :D :D :D :D আমরা তখন আন্ধার কোঠা খুজতেছিলাম। মুন্ডো দেখে আগেই বুঝেছিলাম যে কয়েকশো মিটার এর মধ্যে হবে। কিন্তু আশেপাশে কেউ কোথাও নাই। রাস্তায় দাঁড়ানো দুইটা স্কুলের ড্রেস পড়া মেয়ে দেখে ঠিক করি তাদেরকে জিজ্ঞেস করবো লোকেশন। কাছে গিয়ে আলতো করে ব্রেক করে তাদের “excuse me” বলে লোকেশন জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে ঘুরে তাকিয়ে লোকেশন বলার বদলে দেখি ভয় পেয়ে গেল... এক মেয়ে তো তার বুকে চেপে ধরল ভয়ে... আমি তো অবাক... ব্যাপার কি...!!! দেখি মেয়ে দুইটা সায়িদ এর দিকে ভয়ে তাকিয়ে আছে। আমিও তাকিয়ে বুঝলাম ভয়ের কারণ কি... :D দেখি সায়িদ পরে আছে একটা ভয়াবহ টাইপের মাস্ক। :D দেখে তো আমি নিজেও কিঞ্চিৎ ধাক্কা খাইছি... :p পরে মেয়ে দুইটা লোকেশন দেখিয়ে দেওয়াতে থ্যাংকস দিয়ে চলে...

       আর এরপরেই আন্ধার কোঠা দেখা শেষ করে আরেকটা অবাক করা ঘটনা ঘটে। এই রাইডের স্মরণীয় ঘটনা ৩ টার একটা। আন্ধার কোঠা দেখা শেষ করে যে পিচ্চি আমাদের গাইড ছিল তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম,
- কিসে পড়?
- ক্লাস ওয়ান।
সেই লালমনিরহাট এর পরিবার... ☺ 
- কোন স্কুলে?
- জছির উদ্দিন
অবাক হলাম খুব... কারণ আমার এলাকায় সেম নেম এ একটা স্কুল আছে...!
- আচ্ছা। এটা কোথায়?
- তুষভান্ডার এ...
এবারে আরও বেশি অবাক হলাম...!!! সেম জায়গায় সেম নামের স্কুল। একটা লালমনিরহাট এ আরেকটা হল এখানে ঢাকায়...! কেমন করে সম্ভব?
- তোমার বাসা কি লালমনিরহাট?
- হ্যা...
আর কে পায় আমাকে... তাড়াতাড়ি কোঠা বলে জানতে পারলাম তার বাবা এখানে কাজ করেন। সে আর তার মা মাঝে মাঝে এখানে বেড়াতে আসে। এক্সাম শেষ হয়েছে বলে বেড়াতে এসেছে। কোঠা বলতে বলতে বাসায় পৌঁছে গেলাম। তার আব্বু আম্মুর সাথে পরিচিত হলাম। জানালাম আমিও লালমনিরহাট এর, ঢাকায় থাকি, সাইক্লিং করতে করতে এখানে চলে এসেছি। শুনেই তো টাস্কি খাইল। :D যাই হোক অনেক সমাদর করলো। দেখলাম আমার সব আত্মীয়সজনদেরকে চেনে। J

       যাই হোক, সেখান থেকে সাইক্লিং করে করে দোহার এ পৌঁছে যাই। সেখানে আমি একাই অসাম দুই কাপ রং চা খেয়ে নেই। সায়িদ এর ফোনের চার্জ শেষ হয়েছিল বলে সে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে একটা লেপ তোষকের দোকানে বসে পরে, আমি তো আরেক কাঠি সরেস। সেখানে আমি শুয়েই পরি। ১০/১৫ মিনিটের মতো। আর ঘুমাইছি মনে হয় ৫ মিনিটের মতো।
       তারপর উঠে আবার রাইড শুরু করার আগে স্থানীয় মানুষের কাছে কিছু ডিরেকসন নিয়ে নেই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম একেবারে পদ্মার পাড় ঘেঁষে যাবার জন্য। পরে সেরকম একটা রুট বের করে ফেলি... আর সেই রুট টা আসলেই এক কথা (অসাম) ^ (অসাম)...!!! এত্ত জোস রাস্তা দেখে তো সায়িদ বার বার লাফায়া উথতেছিল :D একটা মজার জায়গার নাম পাই, “কবুতর খোলা” মানে কি হতে পাড়ে চিন্তা করে বের করার ট্রাই দেন... :D
       এদিকে ঘটে রাইডের তিন নাম্বার মজার ঘটনা... অবশ্য এটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল, বাট তবুও মজার। :D
তখন সায়িদ ছিল সামনে, আমি একটু পিছে পরে বোতল থেকে পানি খাচ্ছিলাম। রাস্তার পাশে স্কুল ড্রেস পড়া তিনটা মেয়ে সুন্দর মতো যাচ্ছে, হুট করেই কথা নাই বার্তা নাই একটা মেয়ে লাফায়া রাস্তা পাড় হতে গিয়ে আমার সাইকেল এর সামনে পরে যায়, রাস্তায় ড্যান্স দেওয়া শুরু করে কোন দিকে যাবে এই চিন্তায়, আমি নিজেও কনফিউজড ছিলাম যে তারে কোন দিন থেকে পাস করবো। শেষ পর্যন্ত হার্ড ব্রেক করে স্কিড করতে করতে চলে যাই, কাছে গিয়েই একটা ৯০ ডিগ্রী আঙ্গেল এ স্কিড করে লাগিয়ে দেই মেয়েরে। তবে সামনের চাক্কা না, পিছের চাক্কা তারে লাগিয়ে দেই। আর ব্রেক করার আগে স্পীড ছিল ৩০ এর কাছাকাছি... আর স্কিড করতে হইছে প্রায় ২০ ফিট এর মতো। মেয়ে তো রাস্তায় ধপাস... পরে ওর বান্ধবীগুলা এসে তুলেছিল। আমি খুব সুন্দর মতো বললাম, “দেখ আপু, তোমরা স্কুলে পড়, শিক্ষিত হচ্চ, তোমরা যদি এরকম করে রাস্তা পাড় হও তবে অন্য রা কি করবে বলতো?” তার বান্ধবিদের দিকে জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরাই বল এই এক্সিডেন্ট এ কার দোষ?” তারা মাথা নেড়ে সায় দিল যে তাদের বান্ধবিদের দোষ। পরে আর কি, পকেটে সায়িদের দেওয়া একটা চকলেট ছিল সেটা হাতে ধরায়া দিয়ে এসেছি। তারা যেটা বলল যে আসলে আমার স্পীড তারা কল্পনাও করে নাই যে এতো হবে। :D আর আমিও তখন স্পীড দিছিলাম কারণ সায়িদ অনেক আগায়া গেছে তার নাগাল ধরতে হবে। আর এত কিছু যে হল সায়িদ তার কিছুই টের পায় নাই... আমি পরে তার নাগাল ধরে সব খুলে বলি। :D


       যাই হোক, সেই রাস্তা অনেক সুন্দর আর একেবারে পদ্মার পাড় ঘেঁষে। এক জায়গায় তো দেই নেট দেওয়া। নইলে কেউ যদি রাস্তা থেকে ছিটকে পদ্মায় না পরে এজন্য। আরেক জায়গায় দেখি আর্মি আমাদের থামিয়ে দিল। বলল হেটে যেতে হবে। L কি আর করার...! প্রায় ২০০ মিটার এর মতো রাস্তা হেটে যেতে হল। কারণ হল সেখানে পদ্মার ভাঙ্গন এর জন্য...
       পৌঁছে যাই পদ্মার পাড়ে। যেখানে হবার কথা ছিল ১০২ কিমি., সেখানে শর্ট কাট ইউজের ফলে হয়ে গেছে ৮৩ কিমি.। কিন্তু পদ্মার পাড়ে গিয়ে হতাশ... যা আমার চেনা সেটা নাই...!!! L পুরা ফেরি ঘাট সহ বাজার উধাও...!!! পরে জানতে পারলাম নতুন ঘাট কিছু পরে। পরে সেখানে গেলাম। এদিকে খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করতেছে... মনে হচ্ছে পেটের মধ্যে একটা হাতির বাচ্চা লাফালাফি করতেছে। সায়িদের অবস্থাও সেরকম...
রান্না হচ্ছে তাজা ইলিশ। 
       খাবার হোটেল খুজতে গিয়ে হতাশ... একজন বলে এদিকে নাকি এখনো হোটেল হয় নাই...!!! :’( শুনে তো মাথায় বাজ... এরকম খুদা নিয়া কেমন করে আরও ২/৩ কিমি. সাইক্লিং করে মেইন বাজারে গিয়ে খাই? যাক পরে খুজে খুজে ঠিকই বের করেছিলাম একটা হোটেল। সেখানে তাজা মাঝ ভাজি করে নিয়ে সেই লেভেলের একটা খাওয়া দিলাম দুজনে মিলে। পুরাই রাক্ষসের মতো করে খাইছি আর দুই জনে মিলে মনে হয় ৭ প্লেট এর মতো ভাত খাইছি :D

       খাওয়ার পরে রেস্ট নিয়ে হাইওয়ে ধরে চলতে থাকি ঢাকার পথে... ইতিমধ্যে ঠিক করে নেই যে আমাদের পরের র‍্যালি পয়েন্ট হবে ডাবল ব্রিজ এর পরের টায়। আর ততোক্ষণে আমি সায়িদকে ড্র্যাফটিং সম্পর্কে সব শিখিয়ে দিছি। হুট করেই পাশে একটা ট্রাক চলে এলে আমি কিছুই না বলে সেই ট্রাকের পিছে ড্রাফটিং করতে লেগে যাই। ৩৫-৪০ kmph স্পীড এ কয়েক কিমি. যাবার পরে সেই ট্র্যাক রাস্তা ছেড়ে চলে যায়, এরপরের কয়েক কিমি. একা একাই চলার পরে আরেকটা ট্র্যাক পাই। সেটার পিছেও কয়েক কিমি. ড্রাফটিং করে আমি প্রথম ব্রিজে চলে আসি। সেখানে সায়িদ এর জন্য অপেক্ষা করি। কি জানি সে ট্রাক পাইছে কি না... প্রায় ১১ মিনিট পরে সায়িদ এর দেখা পাই। সে তখন একটা ট্রাকের পিছে ড্রাফতিং করতে করতে চলছে। ভেবেছিলাম সে মনে হয় সেকেন্ড ব্রিজে থামবে, কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে নাই... :D
আসলে ড্রাফটিং এমন মজার একটা জিনিস যে কিছু মনে থাকে না... আমি তো একবার র‍্যালি পয়েন্ট ছেড়ে ১২ কিমি. সামনে যাবার পরে টের পাই যে আমি ছেড়ে চলে এসেছি। :D
যাইহোক, এরপরে আর কোন ট্র্যাক পাই নাই বলে টুক টুক করে চলতে থাকি। পরে সায়িদ এর ফোন পাই। দুর্ভাগ্য ফোন বের করতে গিয়ে ফেলে দেই... L পরে গিয়ে সব খুলে একাকার।

থেমে সব এক করে অন করে দেখি না, সব ঠিক আছে... সায়িদ কে ফোন দেই, চলে আসি পরের র‍্যালি পয়েন্ট এ। চা খেয়ে বেড়িয়ে পরি। এবারে একটা ট্র্যাক পাই। ট্র্যাক পেয়েই আমি ট্র্যাক এর পিছে আবার ড্রাফটিং করে করে আসা শুরু করি। বুড়িগঙ্গা ব্রিজে উঠার পরে ফোন পাই যে তার চাকা লিক করেছে, ফলে আবার ফেরত গিয়ে লিক সারিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করি...
প্ল্যান ছিল ঢাকায় ৫.৩০ এর মধ্যে চলে আসবো, কিন্তু অনেক স্পিডি রাইড ছিল বলে ৩.৪০ তেই চলে এসেছিলাম। আর তখন ১২৫ কিমি. হয়ে গেছে টিএসসি তে এসে। সেখানে স্পেশাল চা খেয়ে চলে আসি... হাতিরঝিল এ এসে দেখি ১৩০ কিমি. এর মতো হল। চিন্তা করে দেখলাম আর মাত্র ২০ কিমি. হলেই ১৫০ কিমি. হয়ে যাবে... এই চিন্তা থেকেই সেখানে ৩ টা ল্যাপ দিয়ে হলে ফিরি... হলে ফেরার পরে ১৫৫ কিমি. এর মতো হল... J
এভাবেই শেষ হল আমাদের বছর শেষের শেষ লং রাইড। J
খোঁজ নিয়ে দেখলাম ঢাকার গুলিস্তান থেকে নবাবগঞ্জ এ সরাসরি বাস আছে... সো বাসেও যেতে পারেন। ৫০-৮০ টাকা ভাড়া বাস ভেদে, আর  সময় লাগে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা (আমাদের সাইকেলে লেগেছিল ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের মতো ;) ) 


Thanks...
====> Always feel free to SHARE so that your friends can can know these informations. Keep visiting this blog site for more. U also can submit your email to SUBSCRIBE this blog.

Thanks again. :)





No comments:

Post a Comment