আমি কখনোই আমার জন্মদিন উদযাপন করি না। অন্তত নিজে নিজে
বুঝতে শেখার পর থেকে না। সর্বশেষ কবে নিজের জন্মদিনের কেক কেটেছি ঠিক মনে পরে না।
তবে মনে হয় সেটা প্রাইমারি স্কুলে থাকার সময়ে। আর গতবার ২০১৩ তে আমাকে এক্কেবারে
সারপ্রাইজ দিছে আমার দুই কাছের বন্ধু আযাদি আর শিমুল। সেদিন অবশ্য কেক খাইতে
হইছিল।
যাই হোক, যেটা বলতেছিলাম। তো বরাবরের মতোই এবারেও কোন
প্ল্যান ছিল না নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করার জন্য। গত ঈদ এর সময় বিটিভি (মনে হয়)
বৃদ্ধাশ্রম এর উপরে একটা রিপোর্ট দেখিয়েছিল। সেখানে দেখিয়েছি সেখানে বৃদ্ধ
বৃদ্ধারা কি রকম জীবন জাপন করতেছিল। সেই সেম রকমের একটা অনুস্থান দেখেছিলাম ২০০৪
এ। আমার মনে আছে।
এরপর ঈদ এরপরে ঢাকায় ফিরে খোঁজ লাগান শুরু করি কই আছে এই
সব বৃদ্ধাশ্রম। বেশ খোঁজাখুঁজি এর পরে পেলাম সেখানকার অ্যাড্রেস। এর পরে গুগল
ম্যাপ এ একটু খাটাখাটি করে এক্স্যাক্ট লোকেশন বের করে ফেলি সেই বৃদ্ধাশ্রম এর।
এখানে আমার জন্মদিন পালন নিয়ে কিছু কথা বলে রাখা ভালো আমি
মনে করি। জেনে গেছেন যে আমি আসলে কখনোই আমার জন্মদিনে কেক কাটি না। কেন?
কেন এই অসামাজিক (!) কাজটি করি আমি? “অসামাজিক” শব্দটার পরে আমি একটা “!” ইউজ করালাম। কারণ আসতেছি...
কেন এই অসামাজিক (!) কাজটি করি আমি? “অসামাজিক” শব্দটার পরে আমি একটা “!” ইউজ করালাম। কারণ আসতেছি...
...আমি বড় হয়েছি একেবারে গ্রামে। গ্রাম বলে সেই রকমের
গ্রাম। বললে হত বিশ্বাস করবেন না, আমাদের বাসায় কারেন্ট গেল এই ৬/৭ মাস হবে। আমি
সেখানে বড় হয়েছি। সেখানে লেখাপরা করেছি স্কুল লাইফের পুরাটা সময়। আরেকটা ইনফো দেই,
তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। আমার বাসা থেকে ইন্ডিয়ান বর্ডার মাত্র ৩.৫ কিমি. দূরে।
গোলাগুলিহলে বাসা থেকে আওয়াজ পাওয়া যায়।
যাই হোক, যেটা বলতেছিলাম। এই রকম একটা রিমোট এরিয়াতে আমি
বড় হয়েছি। সেখানে জন্মদিন পালন তো দুরের কথা আমার বেশিরভাগ ফ্রেন্ডই তাদের জন্মদিন
এর তারিখটা পর্যন্ত জানে না। তো তাদের সামনে যখন আমি আমার জন্মদিন নিয়ে গল্প করতাম
তখন তারা অনেক অবাক হয়ে থাকতো। মাঝে মাঝে খেয়াল করতাম তারা অনেকি মন খারাপ করতো।
আবার অনেককে তাদের জন্মদিন জিজ্ঞেস করে তাদের কাছে আমতাআমতা উত্তর পেতাম। এটা দেখে
দেখে আমার খারাপ লাগা শুরু। আর এই ঘটনা গুলো সব আমার প্রাইমারি স্কুল লাইফের সময়ের
কথা। তখন থেকেই জন্মদিন সেলিব্রেসন এর উপরে খারাপ লাগা শুরু। এরপরেও বাসায়
ছোটোখাটো জন্মদিন সেলিব্রেট করলেও সেটা তাদের সাথে শেয়ার করতাম না। তাদের সাথে
তাদের মতোই থাকতে চেষ্টা করতাম। এভাবেই জন্মদিন সেলিব্রেসন থেকে দূরে থাকা...
...এরপরে হাই স্কুল লাইফ এ এসে ইসলামিক কিছু পড়াশুনা করে দেখলাম যে কেক এর উপরে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে কেক কাটা আসলে ঠিক না। এরপর থেকে তো এক্কেবারে বাদ দিয়ে দিলাম আমার জন্মদিন উদযাপন। হাই স্কুল লাইফে কেউ কখনো আমার আমার জন্মদিন নিয়ে কোন কথা বলতে শুনে নাই মনে হয়। খুব কাছে কেউ কেউ হয়ত জানত আমার জন্মদিন কবে। হালকায় উইস করা হত, আর কেউ কেউ হয়তোবা বই গিফট করতো। এই...
...এরপর কলেজ লাইফেও এরকম করেই কাটিয়েছি। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম না পর্যন্ত। :D আর যখন সেকেন্ড ইয়ার এ উঠেছিলাম তখন কলেজ হোস্টেল এ আবার জুনিয়র রা ধরে জোর করে জন্মদিন সেলিব্রেট করতো। তো আমার স্কুল থেকেও কিছু জুনিয়র এসেছিল। তারা আমার জন্মদিন সেলিব্রেট করবেই করবে... এজন্য সেদিন ঠিক করেছিলাম যে আমি সারাদিন মৌনব্রত পালন করবো। মানে সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বলবো না। :D এবং আসলেই সেদিন সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বলি নাই। এক্কেবারে ২৪ ঘণ্টা সাইলেন্স। :D
...এরপরে হাই স্কুল লাইফ এ এসে ইসলামিক কিছু পড়াশুনা করে দেখলাম যে কেক এর উপরে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে কেক কাটা আসলে ঠিক না। এরপর থেকে তো এক্কেবারে বাদ দিয়ে দিলাম আমার জন্মদিন উদযাপন। হাই স্কুল লাইফে কেউ কখনো আমার আমার জন্মদিন নিয়ে কোন কথা বলতে শুনে নাই মনে হয়। খুব কাছে কেউ কেউ হয়ত জানত আমার জন্মদিন কবে। হালকায় উইস করা হত, আর কেউ কেউ হয়তোবা বই গিফট করতো। এই...
...এরপর কলেজ লাইফেও এরকম করেই কাটিয়েছি। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম না পর্যন্ত। :D আর যখন সেকেন্ড ইয়ার এ উঠেছিলাম তখন কলেজ হোস্টেল এ আবার জুনিয়র রা ধরে জোর করে জন্মদিন সেলিব্রেট করতো। তো আমার স্কুল থেকেও কিছু জুনিয়র এসেছিল। তারা আমার জন্মদিন সেলিব্রেট করবেই করবে... এজন্য সেদিন ঠিক করেছিলাম যে আমি সারাদিন মৌনব্রত পালন করবো। মানে সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বলবো না। :D এবং আসলেই সেদিন সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বলি নাই। এক্কেবারে ২৪ ঘণ্টা সাইলেন্স। :D
...এরপর আসা যাক অ্যাডমিশন টেস্ট লাইফের কথা। সেই সময় আমার
জন্মদিন যে ছিল সেটা আমার মনেই ছিল না। আমার আম্মু আমাকে দুপুরে ফোন করার পরে মনে
হয়েছিল যে এদিন আসলে আমার জন্মদিন। যতদূর মনে পরে ২০১০ এর আমার জন্মদিনের দিন আমি
রাজশাহী তে ছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি পরীক্ষা ছিল সেদিন।
হ্যা ডায়েরি ঘেঁটে দেখলাম সেদিন আসলে “এইচ” ইউনিট এর
পরীক্ষা ছিল। রোল ছিল এইচ-০৪৫৬২ আর সেই পরিক্ষায় আমার মেরিট পজিসন এসেছিল ১২৬তম
এরপরে ভার্সিটি লাইফে হলে থাকলেও কখনোই জন্মদিন পালন হয়
নাই। করতে দিতাম না। ফ্রেন্ডদেরকে মানা করতাম।

এরপরে ঠাডা পড়া রোদের মদ্ধে দিয়ে সেই ভাঙ্গাচুরা রাস্তা ধরে চলে এলাম হলে। আসার সময় কান ধরে সপথ করেছি যে আগামী ৪ বছরের মদ্ধে আর আমি এই ঢাকা-ময়মনসিং হাইওয়ে ধরে সাইক্লিং করবো না।
এরপরে হলে এসে ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম, ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যায়
চলে যাই বাইসাইকেল ফেস্টিভ্যাল এ। সেখান থেকে হলে আসার পথে হাতিরঝীল এ কিঞ্চিৎ
সাইক্লিং করে আসি।
ছাদে চলে গেলাম সবাই মিলে। আমি আর কাতলাম কই, তারাই কাটল।
আমি আর খেলাম কই, তারাই খেল। :D এই না হলে বন্ধুত্ব। আরও সারপ্রাইজ ছিল। আমার
জন্মদিন উপলক্ষে ছাদের আয়োজন করা হল এক সঙ্গীতানুষ্ঠান এর। :D
তার আগে একটা আকাম করেছি। :p আমার স্মরণে সমরিতা মেডিকেল কলেজ এর উদ্দেশ্যে আমরা কয়েকজন মুত্র ত্যাগ করেছিলাম :D


সবাই সেখানে গান গাইলাম... গানে গানে মজায় মজায় রাত ২ টায় ঘুমাতে গেছিলাম। ধন্যবাদ জানাতেই হয় বন্ধু হিমেল, বাতেন, নাসিফ, সেতু, ঝিকু, রাহুল, আলআমিন, দ্বীপ, সবুজ আচারিয়া কে। তোদের জন্যই আমার এবারের জন্মদিন এত সুন্দর করে কাটল রে। থ্যাংকস। J
তার আগে একটা আকাম করেছি। :p আমার স্মরণে সমরিতা মেডিকেল কলেজ এর উদ্দেশ্যে আমরা কয়েকজন মুত্র ত্যাগ করেছিলাম :D
সবাই সেখানে গান গাইলাম... গানে গানে মজায় মজায় রাত ২ টায় ঘুমাতে গেছিলাম। ধন্যবাদ জানাতেই হয় বন্ধু হিমেল, বাতেন, নাসিফ, সেতু, ঝিকু, রাহুল, আলআমিন, দ্বীপ, সবুজ আচারিয়া কে। তোদের জন্যই আমার এবারের জন্মদিন এত সুন্দর করে কাটল রে। থ্যাংকস। J
Thanks...
====>
Always feel free to SHARE so
that your friends can can know these informations. Keep
visiting this blog site for
more. U
also can submit your email to SUBSCRIBE
this blog.
Thanks
again. :)
No comments:
Post a Comment