একটা মেয়ের গল্প বলি... নাম ছিলো
শান্তা,
মাত্র কয়েকমাস আগে মারা গিয়েছে
মৃত্যুর আগে, সে কিছু কথা একজনকে বলে যেতে পেরেছিল;
_______________________________________________________
... শান্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একই
বিভাগের একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে... ভালই কাটছিল তাদের দিনগুলি...
মেয়েটি,
নিজের চেয়েও ছেলেটিকে বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করে সেবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে, ছেলেটি তাকে
প্রস্তাব করে যে এই বন্ধে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসতে। কিন্তু সে রাজী হয়না, কারন পরিবার থেকে অনুমতি পাবে না সে। তাছাড়া এতদূর যাওয়াও
সম্ভব নয়। ছেলেটি পাল্টা অভিমান করে যে, আসলে শান্তা তাকে বিশ্বাস করেনা তাই নানারকম বাহানা দিয়ে তার সাথে যেতে
চাচ্ছেনা তার অভিমান ভাঙ্গানোর জন্যই শেষ পর্যন্ত শান্তা যেতে রাজি হয় ।
কক্সবাজারে বান্ধবির বিয়ে খেতে যাচ্ছে বলে পরিবার থেকে অনুমতিও নেয়...
যথাসময়ে দুইজনে কক্সবাজারে রওয়ানা
হয়ে যায় সেখানে ছেলেটির একটি পরিচিত হোটেল ছিল বলে রুম পেতে কোন অসুবিধা হলনা...
দুই জন,
এক রুমে ছিলো সাত দিন অষ্টম দিন ভোরে শান্তা আবিষ্কার করে
যে,
ছেলেটা রুমে নেই। সে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন তাকে পেলোনা, তখন হোটেল ম্যানেজারের কাছে জানাতেই, ম্যানেজার তাকে জানায় যে ছেলেটা জিনিসপত্র সবকিছু নিয়ে
ভোরেই চলে গেছে এদিকে হোটেলে এন্ট্রি করার সময় ছেলেটি কৌশলে শান্তার নামে সব
কাগজপত্র করে বলে সব বিল শোধ করার দায়িত্ব তার উপরেই এসে পড়ে। হোটেলের বিল দেয়ার
মত টাকা পয়সাও ছিলো না শান্তার সাথে ...থাকার কথাও না
ম্যানেজারকে তার অপারগতা জানিয়ে কথা
দেয় যে ঢাকা গিয়েই সে সব টাকা পাঠিয়ে দিবে। কিন্তু ম্যানেজার রাজী হয়না বরং তাকে
পুলিশ ডাকার হুমকি দেয়। ওদিকে শান্তা, এরকম একটা কাজ করে হোটেলে আটকা পড়েছে দেখে সে লজ্জায় কাউকে ফোন করে টাকা নিয়ে
আসতেও বলতেও পারছে না শেষে ম্যানেজার তাকে প্রস্তাব দেয় যে, তার সব বিল শোধ হয়ে যাবে যদি সে আগামি ৩ দিন হোটেলে থাকে
এবং তার কথামত চলে। ম্যানেজারের এই কথা মেনে নেওয়া ছাড়া আর পথ ছিলনা শান্তার । তাই
সে ম্যানেজারের প্রস্তাবে রাজী হতে বাধ্য হয়... সে নাম লেখায় হোটেলের
দেহপসারিনীদের খাতায়।
সে বুঝতে পারে পুরা ব্যাপারটাই
ম্যানেজার এবং ছেলেটার ষড়যন্ত্র।। কিন্তু তার কিছুই করার ছিলনা। টানা ৩ দিন ধরে সে
হোটেলে থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা বিভিন্ন দেশি বিদেশী খদ্দেরদেরকে দেহদান করতে
বাধ্য হয়।
কক্সবাজার থেকে ফিরে আসার কয়েকমাস
পরের কথা;
বেশ কিছুদিন সে অসুস্থ... ডাক্তারের পরামর্শে একসময় রক্ত
পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে যে, সে HIV তে আক্রান্ত ...শান্তা ধীরে ধীরে আর অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু
যাদের জন্য তার এই পরিনতি তারা দিব্যি সুস্থ-সুন্দর ভাবে দিন কাটাতে থাকে। সে এটা
মেনে নিতে পারলোনা, ঠিক করে যে, সে প্রতিশোধ নিবে শান্তা অন্য পথ আবিষ্কার করে। সে আবার
যোগাযোগ করে সেইই ছেলেটি্র সাথে। এমনভাবে অভিনয় করতে থাকে যে, ছেলেটা ধরে নেয় যে সে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে।
আবার দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক হয়। এবার
ঢাকাতেই চলতে থাকে তাদের শারীরিক ভালোবাসা।
কিছুদিন ছেলেটার সাথে কাটানোর পর সে
চলে যায় কক্সবাজারের সেই হোটেলে, ম্যানেজারের সাথেও
সে একই কাজ করতে থাকে ...কিছুদিন পর শান্তা ঢাকায় ফিরে আসে। ঐ ছেলেটা এবং হোটেল
ম্যানেজারকে একই সাথে মোবাইল থেকে দুইটি মেসেজ পাঠায় "welcome to the
world of #AIDS"
...ম্যানেজারের কথা শেষ পর্যন্ত আর জানা
যায়নি তবে ছেলেটি, মৃত্যুর কিছুদিন
আগে শান্তার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নিতে পেরেছিল।
লিখাঃ Arif R Hossain
_________________________________________________________
আমার বলার বা লিখার কিছুই নাই
আসলে... যা বোঝার আপনারাই বুঝে নিন... আর কি করনীয় সেটাও আপনারাই ভালো বুঝবেন...
আমি নিজে এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবো আর চেষ্টা করবো আশেপাশের মানুষরাও জাতে
ভালো থাকে...
No comments:
Post a Comment