_________________________________________________________________________________
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশিবন্ধুদের সম্মাননা প্রদান
অনুষ্ঠানে এসে মৈত্রী সম্মাননা পদক প্রাপ্ত জাপানি সমাজকর্মী তোমিও নিজুকামি বাংলা
বক্তব্য দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েদিয়েছেন। শুদ্ধ উচ্চারণের চেষ্টা আর থেমে থেমে
ভাঙ্গা বাক্যে বক্তব্য দিলেও পুরো বক্তব্য বাংলায় দিয়ে সবার নজর কেড়েছেনতিনি।
তোমিও নিজুকামি বলেছেন, ‘আপনাদের সোনার বাংলা আমিও ভালবাসি। তোমার আকাশ, তোমার
বাতাস
শত্রু মুক্ত থাক। জয়বাংলা।’ রোববার বঙ্গ্ধু
আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মননা অনুষ্ঠানে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আরো
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ।
তোমিও নিজুকামি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনবাংলাদেশ সলিডারিটি ফ্রন্টের ১ জন সক্রিয়
সদস্য ছিলেন। জাপানের এই নাগরিক তার বাংলা বক্তব্যেআরো বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হাজারো বাঙ্গালীকে হত্যা করা
হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি জাপানি পত্রিকায় লিখেছিলাম। দীর্ঘ ৪২ বছর পর এ অবদানের
জন্য সম্মান পেয়ে আনন্দিত ও সন্তুষ্টি বোধ করছি।’ তিনি
বলেন, ‘আমাকে সম্মান জানানো হবে এটি আমি স্বপ্নেও চিন্তা
করিনি।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ, বাংলা ভাষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ও জাপানের
সর্ম্পক অটুট থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, একাত্তরে বাঙালির পাশে দাঁড়ানো ৬৯ বিদেশি ে রোববার সম্মাননা জানায়
বাংলাদেশ। সমাজকর্মী তোমিও নিজুকামি তারই একজন। সকাল ১০টায়বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
সম্মেলন কেন্দ্রে এই ষষ্ঠ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার উপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে
শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিদেশি
বন্ধুদের পরিচিতি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। রীতি
অনুযায়ী বিদেশি বন্ধুদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট রাষ্ট্রপতি জিল্লুররহমানের তুলে
দেওয়ার কথা থাকলেও তার মৃত্যুতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা এ সম্মাননা তুলে দেন। এ পর্বের সম্মাননার ২০৩ জন বিদেশি বন্ধুকে আমন্ত্রণ
জানানো হলেও ৬৯ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রতিনিধি এবার সম্মাননা নিতে
ঢাকায় এসেছেন। এবার ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’পেয়েছেন কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো ও যুক্তরাজ্যের সাবেক ক প্রধানমন্ত্রী
লর্ড হ্যারল্ড উইলসন (মরণোত্তর)। তাদের পক্ষে কিউবার রাষ্ট্রদূত ও হ্যারল্ড উইলসনের
ছেলে অধ্যাপক রবিন উইলসন সম্মাননা গ্রহণ করেন। আর ‘মুক্তিযুদ্ধ
মৈত্রী সম্মাননা’ দেওয়া হয় ৬৭ বিদেশি বন্ধুকে। মৈত্রী
সম্মাননা প্রাপ্ত জ্যোতিবসুর পক্ষে এটি গ্রহণ করেন প্রতিনিধি তমাল ভট্টাচার্য।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়
ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ শাখাকেও মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment