ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী মিথিলা। ২০০৪ সালের শীতটা যখন জেঁকে বসেছে, তখন ওর বিদেশ ফেরত বন্ধু এক সকালে উপস্থিত।বায়না ধরল তাহসানের বাসায় গিয়ে অটোগ্রাফ নেবে তার ছোট ভাইয়ের জন্য। ইউনিভার্সিটি পড়ে অথচ
তাহাসানকে পছন্দ করে না এমন কাউকে সে সময় পাওয়াটা দুষ্কর।
মিথিলা যে তাহসানের গান শোনেনি তা না তবে বাড়ি গিয়ে অটোগ্রাফ আনবার মতো মহা ফ্যান সে না। যদিও শেষমেষ
বন্ধুর পীড়াপীড়ীতে তাহসানের বাসায় বন্ধু সমেত উপস্থিত মিথিলা। কে জানত প্রথম দেখা হবে একটা গল্পের শুরু।
বিশ মিনিট মিথিলা নামের যে মেয়েটার সাথে
কথা হলো, নিজের ব্যান্ড ব্লাককে এতো পচাঁলো সেই মেয়েটাই চব্বিশ ঘন্টা তাহসানের মাথায় ভূত হয়ে বসল। মেয়ের কি অভাব আছে? কত ফোন, ই-মেইল এটা সেটা কত মেয়েরাই তো প্রতিদিন পাঠায়। অথচ অন্য কেউ তো চিঠি লিখতে বাধ্য করেনি তাহসানকে। প্রেম নাকি ছায়ার মতো, ধরতেগেলেই পালায় আবার পালাতে গেলেই দৌড়ে আসে পেছন পেছন। অন্য মেয়ে ফ্যানদের মতো মেয়েটা পায়ে পড়ে আসেনি এই ব্যাপারটাই কি তাড়া করছিল তাহসানকে? কেমিষ্ট্রিটা আরো কঠিন বোধ হয়। নইলে পরদিন চিঠি হাতে তাহসান কি আর এমনিই মিথিলার জন্য কলা ভবনের গেটের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে ? আরে তাহসান তুমি এখানে ? চিনেছ আমাকে ? আমি মিথিলা। গতকাল তোমার বাসায় কথা হলো। মিথিলা ভদ্রতা করেই না কথা বলে পারল না। তাহসান একটু হকচকিয়ে গেলেও সামলে নিল ঠিকই। 'চলো একটু হাঁটি' তাহসানের সরল আবেদন। বন্ধুদের ছেড়ে আসল মিথিলা। হাঁটতা হাঁটতে কথা হলো অনেকক্ষণ। ফোন নম্বর এক্সচেঞ্জ-তাও হলো। এক সময় তাহসান পকেট থেকে চিঠিটা বের করল। ‘এটা তোমার জন্য'। চিঠিটা এগিয়ে দেবার সময়ওর হাতটা একটু কাঁপল কি ? এতোটা বোধ হয়মিথিলাও আশা করেনি। চিঠির ঘটনা শুনতেই বন্ধুরা তাই নিয়ে হুড়োহুড়ি। বন্ধুরা এর মধ্যেই তর্ক শুরু করল ‘আরে এটা infatuation সাবধান, দু’দিন পর দেখবি উধাও'। আবার Love at first sight নাকি রে? বলে যে ঠাট্টা করল। সাবধানে চিঠিটা খুলল মিথিলা। সবাই পড়ুক মনে মনে তা চাইছিল না। কিন্তু সবাই পড়লেও চিঠিটি যেন শুধু ওর সাথেই কথা বলল 'Some call it love at first sight, some call it infatuation. I just ignore it'। চিঠির জবাবটা মিথিলা দিয়ে দিল ফোন করে, 'হেহেহে... এটা কি লিখছ?' এরপর ফোনে নিয়মিত রাতভর আড্ডা আর অলিতে গলিতে রিকশায় করে ঠিকানাহীন ঘোরাঘুরি।
সবথেকে মজার বিষয় মিথিলা যখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত তাহসান তখন হুটহাট করে কোথা থেকে চলে আসত। বন্ধুগুলিও চরম, সাথে সাথে জাদু হয়ে যেত। আড্ডায় বসে বন্ধুরা তো এদিক ওদিকতাকিয়ে বলতো 'আল্লায় জানে কখন যেন নাযিল হয়'। প্রতিদিন তাহসানের কোন না কোন পকেটে আর নয়তো ব্যাগে একটা না একটা ফুল থাকবেই। ভ্যালেন্টাইন ডে-তে হঠাৎ করে বাসার গেটের সামনে ফুল রেখে এসে ফোন দেয়া তো অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছিল। এভাবে কত ফুল জমেছিল মনে নেই তবে, খেয়ালে-বেখেয়া লেই যেন একে অন্যের খুব কাছে চলে এসেছিল ওরা। ফোনে তাহসান গান শোনালে মিথিলা শোনাত সুকুমার রায়ের ছড়া। গান শুনতে শুনতেই তাহসানের সুরটা যেন মিথিলার অংশ হয়ে গেল। মিথিলাকে নিয়েই লিখে ফেলল গান। তাহসানের সুরে গান ও গাইল মিথিলা। একসাথে রেকর্ডিং স্টুডিওতে ৮ ঘন্টা সময় কাটানোটা আজো মধুময় এক স্মৃতি। তাহসানের সঙ্গে অ্যালবামের ডুয়েটে গান গেয়েই মিথিলার সঙ্গীতের ভূবনে আসা...
সে অন্য গল্প...
Thanks...
====> Always feel free to SHARE so that your friends can can know these
informations. Keep visiting this
blog site for more. U also can submit your email to SUBSCRIBE this blog.
♥ ♥
Thanks again. :)
No comments:
Post a Comment