তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের
ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনাকে আরো সুদৃঢ় করতে ঢাকায় এশিয়ার সর্ববৃহৎ সফটলাইন ল্যাব চালু
করলো যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্বের শিল্প প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা
প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেক। গত জুন এর শেষ সপ্তাহে রাজধানীর তেজগাঁও
শিল্প এলাকার ফনিক্স টাওয়ারে ইন্টারটেকের অত্যাধুনিক ল্যাব উদ্বোধন করেন
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করে এমন
বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ডের মান পরীক্ষা করে থাকে ইন্টারটেক। এর
পাশাপাশি এখানে দেশীয়
বাজারের পণ্যের মানও পরীক্ষা করা যাবে। মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ওয়ান স্টপ সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ল্যাবে
রেডিমেড গার্মেন্টস, ফুটওয়্যার ইত্যাদি
পণ্যের মান পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়াও এখানে থাকছে বৈদ্যুতিক, খাদ্য, খনিজ, কার্গো, কৃষিজ এবং জিটিএস
পরীক্ষণের সুবিধা। এ গবেষণাগারে আরো রয়েছে ক্রমাঙ্কন, নিরীক্ষণ ও ট্রেনিং প্রদানের ব্যবস্থা।
এ ল্যাব সম্পর্কে ইন্টারটেক দক্ষিণ
এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ সাইগাল বলেন, “সমন্বিত পরীক্ষণ
সুবিধাসহ এ ল্যাব শিল্প খাতে বিদ্যমান যাবতীয় অপূর্ণতা দূর করবে। সংশ্লিষ্টদের এ
অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সুবিধা গ্রহন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান ও
তৈরি পোশাক খাতে অসাধারণ সাফল্যের পর বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পের
মধ্যে সমন্বয় সাধনের এক অমিত সম্ভাবনা। নতুন এ ল্যাবের মাধ্যমে ইন্টারটেক স্থানীয়
ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আরও উন্নত সেবা দিতে সক্ষম হবে।”
ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ওপর জোর দিয়ে
ইন্টারটেক বাংলাদেশের পরিচালক কার্তিক এন ডি বলেন, “প্রায় এক লাখ বর্গফুট আয়তনের
ইন্টারটেকের এ নতুন ল্যাবটিতে বিদ্যমান মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগুলোর পাশাপাশি আরো
নতুন কিছু পরীক্ষা শুরু হবে। যা কিনা বাংলাদেশের পণ্যের মান আরও উন্নত করবে।
পাশাপাশি আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ল্যাব শুধুমাত্র
আঞ্চলিক রপ্তানিকারকদের তাদের পণ্যের উচ্চ মান ও নিরাপত্তাই নিশ্চিত করবে না, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে
গ্রহণযোগ্য মান অর্জনেও তাদের সহায়তা করবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
তৈরি পোশাক খাত থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর অর্জিত হয় দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০
শতাংশ। যার পরিমাণ ২১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই বাংলাদেশ সফটলাইনস ব্যবসার উন্নত
অন্যতম অঞ্চল।
পরিবেশবান্ধব এ ল্যাবে রয়েছে বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী আলোক ব্যবস্থা, পানি পুন:ব্যবহারের
উপযোগীকরণ ব্যবস্থা এবং প্ল্যান্ট। অত্যাধুনিক সজ্জিত এ ল্যাবে উন্নত তথ্য
প্রযুক্তি সমন্বিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ 'বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম'।
আরো বলা হয়, ইন্টারটেক বিশ্বের শিল্প প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থাপনার একটি নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান।
এটি শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাব নিরীক্ষা
থেকে শুরু করে পরীক্ষা, ট্রেনিং, উপদেশ, গুণগতমান নিশ্চিতকরণ
এবং সনদ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারটেক পণ্যেল গুণগত মান উন্নোয়ন ও নিরাপত্তা
সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি একশ'টির বেশি দেশে এর হাজার খানেক পরীক্ষাগার ও কার্যালয় রয়েছে।
এতে প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
ইন্টারটেকের সেবা গ্রহণকারী
প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববাজারে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের প্রত্যাশা
পূরণে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা, দীর্ঘস্থায়িত্বতা, উৎকর্ষতা, সততা বিশ্ববাজারে দৃশ্যমান ও সমাদৃত।
ইন্টারটেক বাংলাদেশে ২০০০ সালে
ব্যবসা শুরু করে। ১৪ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে
নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, ফিনিক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ, ইন্টারটেক দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ সাইগাল, বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্তিক এন ডি, দক্ষিণ এশিয়ার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মার্কেটিং হেড
মধুমিতা ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Thanks...
====> Always feel free to SHARE so that your friends can can know these
informations.
<> ♦♣♠ ♠♣♦ <>
Don’t forget to vote for this blog and
also feel free to rate the posts.
U also can submit your email to SUBSCRIBE
this blog.
♥
♥
Thanks again. :)
No comments:
Post a Comment