কর্ণফুলীর কালুরঘাট রেল সেতু। এর বয়স
প্রায় ৮৪ বছরেরও বেশি হবে। তবে প্রাগৌতিহাসিক যুগ হতে নদী পারাপারের জন্য স্থানটি
কালুর ঘাট নামে নদী পারাপারে ভূমিকা রেখে আসলেও ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে এ রেল
সেতুটি নির্মিত হয়। স্থানীয় ভাবে কালুরঘাট সেতুটি কালুরঘাটের পোল নামে বহুল
পরিচিত। আশি বছরের পুরাতন এ সেতুটি দক্ষিণাংশের একমাত্র সংযোগ মাধ্যম ছিল এক দশক
পূর্বে শাহ
আমানত কর্ণফুলী সেতুর উদ্ভোধনের পূর্ব পর্যন্ত। তাই একে দক্ষিণ
চট্টগ্রামের প্রবেশ দ্বারও বলা হয়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টের
সৈন্য পরিচালনা করার জন্য কর্ণফুলী নদীতে ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা
যায়। ফলে ১৯৩০ সালে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানী ব্রীজ বিল্ডার্স হাওড়া নামক একটি
ব্রীজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজটি নির্মাণ করে। মুলত ট্রেন চলাচলের জন্য ৭শ গজ
লম্বা সেতুটি। বর্তমানে কালুরঘাট রেল সেতুটি কর্ণফুলী নদী নামে পরিচিত।
যেভাবে হলো কর্ণফুলী নদীর নামকরণ.....
এটি ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে
শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের
পতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে বাংলাদেশের প্রধান
সমূদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার।
কর্ণফুলী নদীর নামের উৎস সম্পর্কে
বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে, আরাকানের এক রাজকন্যা চট্টগ্রামের এক আদিবাসী রাজপুত্রের প্রেমে পড়েন। এক
জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে তাঁরা দুই জন এই নদীতে নৌভ্রমণ উপভোগ করছিলেন। নদীর পানিতে
চাঁদের প্রতিফলন দেখার সময় রাজকন্যার কানে গোঁজা একটি ফুল পানিতে পড়ে যায়।
ফুলটি হারিয়ে কাতর রাজকন্যা সেটা উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু
প্রবল স্রোতে রাজকন্যা ভেসে যান, তাঁর আর খোঁজ
পাওয়া যায় নি। রাজপুত্র রাজকন্যাকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দেন, কিন্তু সফল হন নি। রাজকন্যার শোকে রাজপুত্র পানিতে ডুবে
আত্মাহুতি দেন। এই করুণ কাহিনী থেকেই নদীটির নাম হয় ‘কর্ণফুলী। মার্মা আদিবাসীদের
কাছে নদীটির নাম কান্সা খিওং।
Thanks...
====>
Always feel free to SHARE so
that your friends can can know these informations. Keep
visiting this blog site for
more. U
also can submit your email to SUBSCRIBE
this blog.
Thanks
again. :)
No comments:
Post a Comment