কেমন
আবার যাবে...! আগের মতোই। তবে একটু অন্য রকম ভাবে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমার খুব একটা
মাথা ব্যথা নাই বললেই চলে। ঢাকায় আসার আগে যখন বাসায় থাকতাম বা কলেজের হোস্টেলে
থাকতাম তখন একটু আধটু পহেলা বৈশাখে ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু ঢাকায় আসার পর থেকে
একেবারেই কিছু করা হয় না। কিছু না করারও কিছু না কিছু কারন আছে। ইসলামে এরকম মঙ্গল
শোভাযাত্রা এর মত র্যালি বা মিছিল নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ আছে। না জেনে অনেক কিছুই
করা যায়,
কিন্তু জেনে শুনে তো আর ভুল কিছু করতে পারি না।
এজন্যই কখনোই আমার মঙ্গল
শোভাযাত্রায় যাওয়া হয় নাই,
ইভেন সামনাসামনি এখনও দেখা হয়নাই জিনিসটা কি... :D যাওয়া ঠিক কি ঠিক কিনা সেটা নিয়ে আলোচনায় গেলাম না। গেলে অনেক দূর জেতে হবে, আমার স্বল্প জ্ঞান দিয়ে এতদুর যাওয়া সম্ভব না বলে আলোচনাটা এখানেই বাদ দিচ্ছি। তবে আমি জতদুর জেনেছি, পড়েছি এবং বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে যে ইসলামে এরকম করা নিশেধ আছে, আর এজন্যই গেলাম না বা কখনোই যাই না।
ইভেন সামনাসামনি এখনও দেখা হয়নাই জিনিসটা কি... :D যাওয়া ঠিক কি ঠিক কিনা সেটা নিয়ে আলোচনায় গেলাম না। গেলে অনেক দূর জেতে হবে, আমার স্বল্প জ্ঞান দিয়ে এতদুর যাওয়া সম্ভব না বলে আলোচনাটা এখানেই বাদ দিচ্ছি। তবে আমি জতদুর জেনেছি, পড়েছি এবং বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে যে ইসলামে এরকম করা নিশেধ আছে, আর এজন্যই গেলাম না বা কখনোই যাই না।
...যাক আজকের দিনটার কথা বলা যাক। আগেই বললাম
যে পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমার খুব একটা আবেগ কাজ করে না, এক দিনের জন্য আমি বাঙালি হতে চাই না। আমি জেরকম বাঙালি সেরকম সব সময়ে
থাকতে চাই। এটাই আমার আদর্শ। অনেক কেই দেখলাম ঠিক রাত ১২টা বাজার সাথে সাথেই “শুভ
নববর্ষ” বলার জন্য হিড়িক ফেলে দিল। এমনকি অনেকেই আমাকে ফেসবুক এ বা মোবাইল এও
মেসেজ দিল। আমি তাদের মেসেজ এর কোন রিপ্লাই দেই নাই পর্যন্ত। কারন আর কিছুই না,
যাদের বাংলা সম্পর্কে আইডিয়াই নাই তাদের আর উইস করেই বা কি হবে।
তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে ইংরেজি দিন শুরু হয় রাত ১২ টায়, হিজরি দিন শুরু হয় সূর্য অস্ত যাবার সাথে সাথে, আর আমাদের বাংলা দিন শুরু হয় সূর্য উদয়ের সাথে সাথে... সুতরাং... (বুঝে
নিন...)
পহেলা বৈশাখ নিয়ে আগে থেকে কোন প্লান ছিল না। তবে সপ্তাহ
খানেক আগে একবার প্লান করেছিলাম যে মানিকগঞ্জের বালিহাটি জমিদার বাড়ি সাইকেলে করে
যাবো, সারাদিন সেখানে থেকে
আবার বিকেলে ফিরে আসব। যাওয়া আসা মিলে ১২০+ কিমি. হত। মোটামুটি সব ঠিক ছিল,
কিন্তু ইদানিং যে রকম গরম পরেছে তাতে এই প্লান টা বাদ দিয়ে
দিলাম।
আগের দিন সব স্টুডেন্ট কে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি পড়াতে
আসব কিনা, না করলো সবাই, বুঝলাম হয় সবাই কাপল বা সবারই কোন না কোন প্লান আছে। খালি আমারি প্লান
নাই। ভেবেছিলাম অন্তত স্টুডেন্ট পড়াবো সেটাও হল না, ফলাফল
সারাদিন ঘুমানোর প্লান করলাম ১৩ই এপ্রিল। অনেক দিন শান্তি করে ঘুমানো হয় না। :D
এখন হুট করে তো সারাদিন ঘুমানো যায় না,
এজন্য আগের রাতে (১৩ এপ্রিল) দুইটা এনিমেশন মুভি দেখলাম। তারপর
চিন্তা করলাম অনেক দিন আমার ব্লগ এর ডেভলপমেন্ট এর কোন কাজ করা হয় না আজকে কিছু
করা যাক, এই চিন্তা করে বসে পড়লাম আমার ব্লগটা আবার নতুন
করে ঢেলে সাজানর কাজে। প্রায় ৪০০০+ লাইন এর HTML এডিট এর কাজ করলাম,
বেশ কিছু নতুন এবং চমকপ্রদ ফিচার অ্যাড করলাম। এই কাজ করতে করতেই
দেখি চখ একেবারে বন্ধ হয়ে আসতেছে। পিসি এর ঘড়ির দিকে চখ যাওয়াতে চোখ একেবারে
ছানাবড়া হয়ে উঠলো। :O
৫.১৯ বাজে... কি আর করার আরও কয়েকটা কাজ ছিল হাতের কাজটা
শেষ করে বাকি কাজগুলো অসমাপ্ত করে ঘুমাতে গেলাম। তখন ঘড়িতে ৫.২৮ বাজে।
ঘুম ভাঙল একেবারে দুপুর ১২.৪৫ এ। উঠেই দাঁত ব্রাশ করলাম,
পিসি অন করলাম, আগের রাতের অসমাপ্ত কাজ
শেষে বসে পড়লাম। কাজের ফাকে ফাকেই ২৫০গ্রামের চানাচুরের প্যাকেট শেষ করে ফেললাম।
কাজ আবারো সমাপ্ত রেখে নামাজ পরে এসে আবার কাজে বসে পড়লাম। এর মদ্ধে একবার টায়ার্ড
লাগায় শুয়ে শুয়ে “বিগ ব্যাং থিওরি” এর একটা এপিসোড দেখে মনটা ভালো করে নিলাম। :D
কাজ শেষ করে ব্লগটা ঘুরে এলাম একবার। ভালোই লাগলো। পেটে
একটু ফাকা ফাকা লাগাতে সময় দেখলাম,
৩.৪০ বাজে। গোসল সেরে নিয়ে গিয়ে খাওয়া সেরে এসে একটু মুভি দেখতে
বসলাম। দেখতে দেখতে শুয়ে পড়লাম, শুয়ে শুয়ে দেখতে দেখতেই
ঘুমিয়ে গেলাম। স্বপ্ন দেখলাম ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। স্বপ্নে দেখলাম যে সন্ধ্যা ৭টা থেকে
৮টা পর্যন্ত হাতিরঝীল এ সাইকেল চালিয়ে পার্সোনাল কয়েকটা রেকর্ড করলাম। (বেশ কিছু
দিন থেকেই এইটা প্লান করতেছিলাম)।
ঘুম ভাঙল ঠিক ৬.৪৫ এ। ঘুম থেকে উঠেই নামাজ পরে সাইকেল
নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম স্বপ্নে দেখা কয়েকটা রেকর্ড ব্রেক করার জন্য। কিন্তু হাতিরঝীল এ
যে পরিমান জ্যাম দেখলাম তাতে বুঝলাম যে আজকে আর এই রেকর্ড ব্রেক করা সম্ভব না। এবং
আসলেই সম্ভব হয় নাই। তবে যে প্লান ছিল হাতিরঝীল এ সেই প্লান শেষ করেছি। ৩টা ল্যাপ
কমপ্লিট করেছি। এরপরে হলে চলে এলাম সোজা। এসেই ফ্রেশ হয়ে লিখতে বসেছি...
সংক্ষেপে এই ছিল আজকের আমার দিনলিপি।
এবারে আসুন আমরা পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা বলি...
ইসলামের দিক থেকে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা সম্ভব,
সেদিকে গেলাম না। কারন আমার জ্ঞান অনেক কম। কিছু করা ঠিক কি ঠিক
কিনা সেটা নিয়ে আলোচনায় গেলাম না। গেলে অনেক দূর জেতে হবে, আমার স্বল্প জ্ঞান দিয়ে এতদুর যাওয়া সম্ভব না বলে আলোচনাটা এখানেই বাদ
দিচ্ছি। তবে আমি জতদুর জেনেছি, পড়েছি এবং বুঝেছি তাতে মনে
হয়েছে যে ইসলামে এরকম করা নিশেধ আছে। সে কথা থাক... আমরা সামাজিক এবং বাঙ্গালিপনা
দিক থেকে কিছু কথা বলি... তার আগে ফেসবুক থেকে পাওয়া একটা প্যারডি গান দেই,
দেখেন, অনেক মজা পাবেনঃ
“>বৈশাখী থিম সং <
.
এক দিনের বাঙ্গালী..
ফোরটিন ফোরটিন..
পান্তা ভাতের
কাঙ্গালি.. হাউ
এক্সাইটিং.. .
ভন্ডামি ওয়েটিং..
টেনশন টেনশন..
ধিন ধিতান ধিন ধিন..
রমনাতে আগুন দিন.. .
বৈশাখ
শেষে হৈ হৈ বাঙ্গালীরা গেল
কৈ।? বৈশাখ
শেষে হৈ হৈ বাঙ্গালীরা গেল কৈ।?
তেঁতুল দেখে..
লালা ড্রপিং লালা ড্রপিং..
চেতনার লীলাখেলা.. জাস্ট ওয়েটিং জাস্ট
ওয়েটিং..
পুলা মাইয়া শাউটিং..
চেতনা রকিং..
শিয়ালেরা চিয়ারিং এভরিবডি হিয়ারিং.
তেঁতুল খাদকদের
জমবে লড়াই..
খুশির সীমা নাই..
দেখবে দুনিয়া চলবে খেলা.. একি সাথে সবাই.... নাই নাই
বাধা যে নাই
বৈশাখি মেলায় যাইইইইই....!!!”
স্বীকার করেন আর নাই করেন আমরা কিন্তু এরকম বাঙালি।
যে দেশে মানুষ তিন বেলা না, দুই বেলাই ঠিক মত খেতে
পারে না সে দেশে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে এক হালি ইলিশ খাওয়া নিতান্তই ফ্যাসন ছাড়া আর
কিছুই না। আর এক দিন পান্তা ইলিশ
খেলেই বাঙালি হওয়া যায় না। আমি দেখেছি, যখন গ্রামে ছিলাম তখন।
মানুষ পান্তা খায় কাবার কিছু না পেয়ে। আবার গ্রামে যারা একটু সচ্ছল তাঁরা পান্তা
খায় গরমের জালায়। আর তোমরা করতেছে কি? পান্তা খাচ্ছ
বাঙ্গালিপনা দেখাতে... ট্র্যাডিশন মেইন্টেইন করতে...!!!
ক্ষুধার জালায় একটাবার
খেয়ে দেখ...
আরে আমরা এমন বাঙালি যে
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আমরা ইংরেজি বা হিন্দি গান বাজাই, সেই গানের তালে তালে
আবার ডিজে পার্টি করি...!!! :D এমন বাঙালি আমরা...
মঙ্গল শোভাযাত্রা করলেই
বাঙালি হওয়া যায় না, শুধুমাত্র একদিন পান্তা ইলিশ খেলেই
বাঙালি হওয়া যায় না, একদিন পাঞ্জাবি আর শাড়ি পরে ঘুরলেই
বাঙালি হওয়া যায় না... কিভাবে হতে হয় সেটা আমি তোমাদের শেখানোর জন্য লিখতেছি না,
পারলে নিজে শিখে নিও।
Thanks...
U
can submit your email to SUBSCRIBE this blog to get the posts regularly.
Thanks
again. :)
No comments:
Post a Comment