xmlns:fb='http://ogp.me/ns/fb#'> দেশে প্রথম তৈরি হলো বাংলা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার |Bappi

U also may b interested in these posts

 

Floadting Share

Get Widget

Monday, March 24, 2014

দেশে প্রথম তৈরি হলো বাংলা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার

বাংলা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার (ওসিআর) সফটওয়্যার উপমহাদেশে প্রথমবারের মত সফলভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। টিম ইঞ্জিন নামের একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খানের উৎসাহ এবং টিম ইঞ্জিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরি
হিমিকার উদ্যোগে এই সফটওয়্যার দুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে ডিজিটাইজড করা। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে, ডকুমেন্টশন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজড করা এবং পুরোনো ডকুমেন্টগুলোকে সহজে খুঁজে বের করা। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল- পরিপূর্ণ সুবিধার কোনো ওসিআর সফটওয়্যার না থাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে পূরণ করতে বাংলা ওসিআর সফটওয়্যার তৈরি করেছে এ দেশীয় প্রতিষ্ঠান টিম ইঞ্জিন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে বাংলা টেক্সট টু স্পিচ নামক আরও একটি অভিনব সফটওয়্যার।
এনবিআর, আদালত, ব্যাংক, জমির নিবন্ধন অফিস- এ রকম অনেক সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রাত্যহিক অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পাদন করতে অনেক পুরনো ডকুমেন্ট খুঁজতে হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে ডকুমেন্ট সার্চ করতে কোড নম্বর দিয়ে সার্চ করতে হয়। নাম দিয়ে সার্চ করা যায় না। এখন থেকে সেই সমস্যা আর থাকছে না। ওসিআর ব্যবহারকারীরা নাম দিয়েই ডকুমেন্ট খুঁজে বের করতে পারবেন তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট। এর মাধ্যমে ডকুমেন্টের ইমেজকে ওয়ার্ডে কনভার্ট করে অথবা সরাসরি ইমেজ থেকে রিড করে আউটপুট বের করা যাবে।
বাংলা ওসিআর তৈরি করেছেন টিম ইঞ্জিনের এসএম আল-আমিন (সম্রাট) ও তার টিম। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এই ওসিআরের স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলা ওসিআর এবং বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যারের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ছিলেন নাফিসা রেজা বর্ষা। সফটওয়্যার দুটি ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা যাবে বিনামূল্যে। ডিজিটাইজেশনের সুফল দেশের সকল জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই কাজ করছে টিম ইঞ্জিন। সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি সহায়তায় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই টিম ইঞ্জিনের লক্ষ্য।
সফটওয়্যারটি সম্পর্কে এসএম আল-আমিন (সম্রাট) জানান, আমাদের তৈরি বাংলা ওসিআর সফটওয়্যারের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল, এর অ্যাকুরেসি রেট শতকরা ৯৪ ভাগ যা অন্যান্য ভাষার ওসিআরের থেকেও অনেক এগিয়ে। এর চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, আগামীতে অ্যাকুরিসি রেট আমরা শতকরা ১০০ ভাগ নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি। সফটওয়্যারটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাংলায় টাইপ করা বা লেখা একটি ইমেজকে ওসিআর করলে ইমেজের কনটেন্ট সরাসরি ইউনিকোড ফরম্যাটে চলে আসবে, যা বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমে কোনো ধরনের বিচ্যুতি ছাড়াই উপস্থাপিত হবে।’ তিনি জানান, জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু করে অন্য লাইব্রেরিকে অনলাইনে নিয়ে আসার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে টিম ইঞ্জিনের তৈরি বাংলা ওসিআর। সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন সংবাদপত্র শুধু ডকুমেন্টের ইমেজ ফরম্যাটটি ওয়েবে আপলোড করে দেয়। গবেষণা বা অন্য প্রয়োজনে কোনো তথ্য সার্চ দিলে ওই ইমেজ ফরম্যাট থেকে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলা ওসিআর অপটিক্যালি ক্যারেক্টারকে রিড করে পাঠককে এই তথ্যের সন্ধান দেবে।
সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও উপকৃত হবে বাংলা ওসিআর এর মাধ্যমে। ওসিআর ব্যবহার করে সহজেই পুরনো বা নতুন বইকে ব্রেইল বইয়ে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। অডিও বুক করাও সহজতর হবে। বইটি স্ক্যান করেও করা যায় তবে টেক্সট এডিট করতে গেলে ওসিআর সাহায্য করবে। বাংলা ওসিআর সফটওয়্যার ছাড়াও টিম ইঞ্জিন তৈরি করেছে বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার। বাংলা ভাষায় এটি দেশের প্রথম টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার। টিম ইঞ্জিনের মাসুদ, ফয়সাল, মোনা এবং সাজ্জাদ এ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন। এতে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন অয়ন মিজান। অ্যাডভাইজার হিসেবে রুহুল আমিন সজীব। প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার হিসেবে আছেন আশিকুর রহমান অমিত।
বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যারটি প্রসঙ্গে টিম ইঞ্জিনের প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার আশিকুর রহমান অমিত জানান, ‘বর্তমানে যেসব ইংরেজি টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমেও লেখা বাংলা শোনা গেলেও সেটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া। কেননা সেক্ষেত্রে বাংলা লেখাকে ইংরেজি অক্ষরে লিখতে হয়। কিন্ত বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যারটি বাংলা লেখা থেকেই বাংলা পড়ে শোনাবে। এটি বাংলা টেক্সটকে ডিটেক্ট করতে পারে এবং পড়তে পারে। কোথায় থামতে হবে সেটাও বুঝতে পারে। বাংলা ভাষার টেক্সট টু স্পিচে মেশিন ভাষা নয়, বরঞ্চ অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি হিসেবে সফটওয়্যারটিতে হিউম্যান ভয়েস ব্যবহার করা হয়েছে।’
তিনি জানান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য এই সফটওয়্যারটির গুরুত্ব অপরিসীম। অনলাইনের অসংখ্য কনটেন্ট দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কোনো উপকারে আসছে না। এই কনটেন্টগুলোকে তাদের শোনার উপযোগী করে তুলতে বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধিরা পড়াশুনা এবং গবেষণার জন্য প্রচুর বই এবং তথ্যে সহজেই সাহায্য পাবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় বই পড়াটা কঠিন। তখন বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুনে শুনে খুব সহজেই বইটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

জানা গেছে, খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে এই সফটওয়্যার দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।




Thanks...

====> Always feel free to SHARE so that your friends can can know these informations.

Keep visiting this blog site for more.

U can submit your email to SUBSCRIBE this blog to get the posts regularly.
U also can see my FACEBOOK PROFILE for suggesting  more topics.

Thanks again. :)





1 comment:

  1. your information about the research paper link is wrong ; they haven't released the OCR yet, where did you get their research paper ? moreover that's the research paper of "Center for Research on Bangla Language Processing" which never worked in practical situation.

    ReplyDelete

Receive All Free Updates Via Facebook.

Blogger Widgets..

Receive All Free Updates Via Facebook.

Receive All Free Updates Via Facebook.