_________________________________________________________________________________
একটা
বছর হয়ে গেলো...
এক বছর অনেক লম্বা একটা সময়। একটু বেশিই লম্বা মনে হচ্ছে এখন।
ঠিক এক বছর আগে এই দিনটা ছিল পহেলা রমজান, মনে আছে আমার। সেদিন আমি সেহরি না করেই রোজা রেখেছিলাম। মনে পরে এখনও...
এই দিনে তাজহাট জমিদার বাড়ি থেকে তোলা... |
এক বছর অনেক লম্বা একটা সময়। একটু বেশিই লম্বা মনে হচ্ছে এখন।
ঠিক এক বছর আগে এই দিনটা ছিল পহেলা রমজান, মনে আছে আমার। সেদিন আমি সেহরি না করেই রোজা রেখেছিলাম। মনে পরে এখনও...
সেই দিনটার প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা কথা
নিখুঁতভাবে এখনও মনে পরে আমার।
আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই দিনে
আমার জীবনে এমন কিছু হয়েছিল যে সেই ঘটনা আমার পুরো
জীবনের ছক বদলে দিছে এই দিনটা আর এর আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই দিনে
আশেপাশের ঘটনা প্রবাহ। আর আমার এই পরিবর্তনটা আসলেই দরকার ছিল। আমি নিজেও খুশি আমার আশেপাশের মানুষ রাও আমার এই পরিবরতনে খুশি।
আজকের এই বাপ্পী এর সাথে এক বছর আগের
বাপ্পী এর আকাশ পাতাল পার্থক্য।
আগে আমি থাকতাম আমার নিজের জগত নিয়ে, আশেপাশের সব কিছু থেকে নিজেকে
আইসোলেটেড করে রাখতাম, এখন আমি সব সময় সদাহাস্যজ্জল একজন
মানুসে পরিণত হয়েছি। মনে পরে সেই দিনের কথা... মনে পরলেই মনটা বিষিয়ে উঠে এখনও।
মানুষ... মানুষ মাঝে মাঝে এতো বেশি খারাপ হতে পারে যে কি বলি...!!!
সেই দিন... সেই দিন আমার পাশে কেউ ছিল না। কেউ না... আমার দুটো ফ্রেন্ড সমীরণ আর সঞ্জিত ছিল আমার পাশে। আল্লাহ এর পরে তারাই জানে যে আমি কি অবস্থায় ছিলাম এই দিনে...
এই দিনে তারা আমাকে শক্তি জুগিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে... আমাকে বেচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো।
মনে পরে এই দিনে আমি আর আমার বোন এক জায়গায় অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে ছিলাম, কোন কথা না বলে...
মানুষ... মানুষ মাঝে মাঝে এতো বেশি খারাপ হতে পারে যে কি বলি...!!!
সেই দিন... সেই দিন আমার পাশে কেউ ছিল না। কেউ না... আমার দুটো ফ্রেন্ড সমীরণ আর সঞ্জিত ছিল আমার পাশে। আল্লাহ এর পরে তারাই জানে যে আমি কি অবস্থায় ছিলাম এই দিনে...
এই দিনে তারা আমাকে শক্তি জুগিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে... আমাকে বেচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো।
মনে পরে এই দিনে আমি আর আমার বোন এক জায়গায় অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে ছিলাম, কোন কথা না বলে...
এই দিনে তাজহাট জমিদার বাড়ি থেকে তোলা... |
একটা বছর...
আমি সিখে গেছি যে জীবনে খারাপ অথবা ভাল দুইটা সময়ই প্রয়োজন, খারাপ সময়ে নিজেকে যেমন খুব ভাল ভাবে চেনা যায় ঠিক তেমনি আশপাশের মানুষদেরও। আর ভাল লাগার মুহূর্ত গুলো কষ্টের পরিধি অনেকটা কমিয়ে নিজেকে নতুনভাবে বাঁচার পথ দেখায়। পরে কি হবে জানিনা তবে জীবনতো একটাই, এ জীবনে যদি অর্থবহ কিছু না করতে পারি তাহলে জীবনের মূল্য রইলো কোথায়? আমাদের সবার উচিত অর্থবহ কিছু করার চেষ্টা করা।
এখন সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি কিছু করার
জন্য। দোয়া করবেন...
[ফেসবুক এ পুরোটা শেয়ার করলাম না, আমার ব্লগে পুরো লেখাটা পাবেন।]
১৯জুলাই থেকে শুরু রে ৫ ই সেপ্টেম্বর এই সময়টা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দঃসহ সময়। আর এটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়। এই সময়টাই আম্র জীবনটা আগাগোড়া পালটে দিছে। এবং এই পরিবর্তনটা আসলেই আমার দরকার ছিল। কারণ এই পরিবর্তনটা অনেক বেশি পজিটিভ হয়ে দেখা দিছে আমার জীবনে। জানি এই ধরণের সম্মুখিন হলে প্রায় সব মানুষই ভেঙ্গে পড়ত, শেষ হয়ে জেত। কিন্তু আমি দেখেছি যে আমার মানসিক শক্তি অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি, আর এজন্যই হয়তো আমি এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত টিকে গেছি।
[ফেসবুক এ পুরোটা শেয়ার করলাম না, আমার ব্লগে পুরো লেখাটা পাবেন।]
১৯জুলাই থেকে শুরু রে ৫ ই সেপ্টেম্বর এই সময়টা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দঃসহ সময়। আর এটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়। এই সময়টাই আম্র জীবনটা আগাগোড়া পালটে দিছে। এবং এই পরিবর্তনটা আসলেই আমার দরকার ছিল। কারণ এই পরিবর্তনটা অনেক বেশি পজিটিভ হয়ে দেখা দিছে আমার জীবনে। জানি এই ধরণের সম্মুখিন হলে প্রায় সব মানুষই ভেঙ্গে পড়ত, শেষ হয়ে জেত। কিন্তু আমি দেখেছি যে আমার মানসিক শক্তি অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি, আর এজন্যই হয়তো আমি এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত টিকে গেছি।
সমীরণ তাজহাট জমিদার বাড়িতে |
তবে শারীরিক ভাবে আমাকে অনেক বেশি
পরিমাণে পোহাতে হয়েছে। আমাকে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। এখনও আমাকে পকেটে টাকা
এর পাশাপাশি ট্যাবলেট রাখতে হয়...
এখনও আমাকে শারীরিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে
হয়।
আজকে একটু আগে বসে বসে সেই দিনের আর তার আশেপাশের দিনের আমার স্ট্যাটাস গুলা দেখলাম... পুরাতন স্মৃতি মনে পরে গেলো।
তবে হ্যা, এখন আমি অনেক বেশি ভালো আছি, আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো আছি... আমার কাছের মানুষরা এটা ভালো করেই জানে।
আমি আজকে তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের যারা আমার ঐ দুঃসময়টাতে আমার পাশে ছিল, আমাকে মানসিকভাবে সাহায্য করেছে।
সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে সমীরণ, সঞ্জিত, তারপর উত্তম, আইরিন, মনিকা, মিমি, হিমেল... তোদের ঋণ কখনো শোধ হবে নারে, শোধ করতেও চাই না আমি। :D
আজকে একটু আগে বসে বসে সেই দিনের আর তার আশেপাশের দিনের আমার স্ট্যাটাস গুলা দেখলাম... পুরাতন স্মৃতি মনে পরে গেলো।
তবে হ্যা, এখন আমি অনেক বেশি ভালো আছি, আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো আছি... আমার কাছের মানুষরা এটা ভালো করেই জানে।
আমি আজকে তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের যারা আমার ঐ দুঃসময়টাতে আমার পাশে ছিল, আমাকে মানসিকভাবে সাহায্য করেছে।
সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে সমীরণ, সঞ্জিত, তারপর উত্তম, আইরিন, মনিকা, মিমি, হিমেল... তোদের ঋণ কখনো শোধ হবে নারে, শোধ করতেও চাই না আমি। :D
তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই
থাকবি...
তোদের অনেক বেশি ধন্যবাদ আমার কাছে থাকার
জন্য সেই সময়ে।
আমার আরেকটা ভালো অভ্যাস হল বিশেষ বিশেষ দিনে আমি বই কিনি,
এই দিনেও আমি বই কিনেছিলাম একটা। বইটার নামঃ “পৃথিবীটা অনেক বড়” লেখক, স্যার
আইজ্যাক আসিমভ। একটি সায়েন্স ফিকশান। সেদিন বুঝেছিলাম যে পৃথিবীটা আসলেই অনেক বড়।
যারা যারা বেশি
মাত্রায় আগ্রহী তারা এই লিঙ্ক দুইটা ভিজিট করতে পারেন, তাহলেই বিস্তারিত জানতে
পারবেন আশা করি।
১। This Link
২. আমার বৃষ্টি স্নান...
আরও বেশি আগ্রহী হলে আমার ফেসবুক টাইমলাইন এর জুলাই ২০১২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত দেখতে পারেন।
যারা যারা এই
পোস্ট টি পরলেন, তাদের জন্য বলি:
মানুষের বিশ্বাস নিয়ে কখনো খেলা করিয়েন না।
আরেকটা কথা আছে, মানুষকে খুব বেশি ভালবাসিয়েন না। আর যদিও খুব বেশি ভালবাসেন তবে
সেটা প্রকাশ করিয়েন না। কারো প্রতি আপনি অনেক বেশি দুর্বল, তাকে অনেক বেশি
ভালবাসেন এই তথ্যটা সে যদি জানতে পারে তবে সে আপনাকে একেবারে ধংস করে দিতে
পারে(জদি সে চায়)
ভালো থাকবেন সব
সময়।
নিজে ভালো থাকুন, প্রিজনকে ভালো রাখুন।
প্রিয়জনের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখুন।
No comments:
Post a Comment