আগামী বছরগুলোয় বৈশ্বিক
ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো (রিটেইলার) বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে তৈরি পোশাক ক্রয়
করবে বলে আভাস মিলেছে।
আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আভাস দিয়েছে। খবর
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুই হাজার কোটি ডলারের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক
ব্যবসা প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে। সাম্প্রতিক
ঘটনাসমূহ
সবার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কিন্তু বড় ধরনের উৎপাদনের জন্য অন্য কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ এখনো প্রথম স্থানে রয়েছে।
এ বছরের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের
সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে
সমালোচনার ঝড় ওঠে। ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম ও ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে।
ম্যানকিনসের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পোশাক প্রস্তুত করানোর ক্ষেত্রে শ্রমিকের কর্মনিরাপত্তার
বিবেচনাকে ছাপিয়ে ওঠে উৎপাদন-সক্ষমতা ও দাম। পোশাক উৎপাদনকারী অন্য যেকোনো দেশের
চেয়ে বাংলাদেশে কারখানা বিপর্যয় ও দুর্ঘটনা অনেক বেশি হওয়ার পরেও ন্যূনতম মজুরি
অনেক কম থাকা এবং বিপুল পরিমাণ পোশাক কারখানা দেশটিকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য
অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন বছরে ১৫
হাজার কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করে থাকে। চীনের শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি
বাংলাদেশের তুলনায় অন্তত চার গুণ বেশি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম
মাসিক মজুরি ৩৯ ডলার। আবার এ দেশের কারখানার সংখ্যা ভিয়েতনামের দ্বিগুণ ও
ইন্দোনেশিয়ার ২০ গুণ।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ক্রেতারা এখন একদিকে কারখানার নিরাপত্তা
ব্যবস্থা পরিপালনের চাপে রয়েছে, অন্যদিকে সেখানে
শ্রমিকদের বিক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়ছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি মিয়ানমার
আগামী দিনগুলোয় তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে
নিতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও
কম্বোডিয়ার পর এটি হবে চতুর্থ সম্ভাবনাময় উৎস।
Thanks...
<>
♦♣♠ ♠♣♦ <>
U can
submit your email to SUBSCRIBE this blog to get the posts regularly.
Thanks
again. :)
__________________________-___________________________
No comments:
Post a Comment